ইজতেমায় মুসল্লিদের নজর ৪৫কেজি ওজনের মিষ্টিকুমড়োয়



ফাহিম ফরহাদ, গাজীপুরঃ

বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সামগ্রী ও পোষাকসহ বাহারি রকমের খাদ্য ও সবজির দোকান, এর মাঝে দেখা মিল্লো থাইল্যান্ডের গ্রীন ডায়মন্ড নামে পরিচিত কয়েকটি বিশালাকৃতির মিষ্টি কুমড়োর। যা দেখতে ও ক্রয় করতে ভিড় করছেন ইজতেমায় আগত মুসল্লি, দর্শনার্থী ও ক্রেতাসাধারণ। 

জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমার মুসল্লিদের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে হাইব্রীড জাতের বিদেশি বিভিন্ন সবজি ও বিজ নিয়ে এসেছেন সুদুর মুন্সিগঞ্জ থেকে। 

কথা হয় বিক্রেতার সাথে, তিনি জানান, মুন্সিগঞ্জের চাষী আওয়াল ব্যাপারীর সবজি বাগানে চাষাবাদ করা হয় উন্নত বিদেশি জাতের কুমড়োসহ এসব বিভিন্ন সবজি। তাছারা বিক্রির জন্যে এই বিক্রেতার সংগ্রহে রয়েছে উন্নত জাতের ক্যাপসিকাম, কয়েক-জাতের কুমড়ো ও বিভিন্ন সবজি বিজ। এর মধ্যে অন্যতম থাইল্যান্ডের গ্রীণ ডায়মন্ড নামে পরিচিত বিশালাকৃতির মিষ্টি কুমড়ো। তাছারা ক্যাপসিকাম মরিচসহ একাধিক সবজি বিজও রয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা এসব বিজ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের ফসলী জমিতে চাষাবাদের উদ্দেশ্যে।

বিক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, চাষী আওয়াল ব্যাপারীর ফসলী জমি থেকে বিশ্ব-ইজতেমার মুসল্লিদের খাদ্যের যোগান দিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে ২৫ থেকে ৪৫কেজি ওজনের প্রায় ১০টি কুমড়ো নিয়ে এসেছেন তিনি। এর মধ্যে কয়েকটি বিক্রিও করেছেন আব্দুর রহমান ও সহযোগীরা। অবশিষ্ট কয়েকটি কুমড়োসহ অন্যান্য সবজি ও বিজ বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রহর গুনছেন আব্দুর রহমান। এই কুমড়ো বিজ রুপনের ২০-২৫দিনের ব্যাবধানে ফলন আসে গাছে। পরে বারোমাসি এ মিষ্টিকুমড়ো কিছুদিনের ব্যাবধানে প্রায় ৬০কেজির বেশি অবদি ওজন হয়ে থাকে বলেও জানান আব্দুর রহমান।

বিক্রেতা আব্দুর রহমান জানান, এমন উন্নত জাতের মিষ্টিকুমড়ো ছাড়াও তার অস্থায়ী বিপণি বিতানে (ভ্যানগাড়িতে) রয়েছে উন্নত মানের বিভিন্ন সবজি ও সবজির বিজ। যা অতি দ্রুত উচ্চ ফলনশীল ও আকাড়েও দেশি জাতের চেয়ে বেশ বড় আকৃতির সবজি হয়ে থাকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন