স্থিতিশীল সবজির বাজার, তেল-চালে অস্বস্তি

 


খুলনার বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও তেল-চালে অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে মাছ-মাংসের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। মিনিকেট প্রকারভেদে ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা, আতপ চাল খোলা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম অনেক কম। ফুলকপি ২০ টাকা, টমেটো ১০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা কেজি, লাল শাক ৩০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, পালংশাক শাক ২০ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু, পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ কেজি দরে, রসুন ১৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে কেজিপ্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে।


তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে, পাঙাশ আকারভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

গল্লামারি বাজারে আসা জুনায়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, শীতকালীন সবজি, আলু-পেঁয়াজের দাম অনেকটা কম। তবে তেল ও চালের দাম বেশি। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই খোলা সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে।

বড় বাজারের তেল ব্যবসায়ী আলম মিনা বলেন, বাজারে তেল না থাকলে মজুদ করব কীভাবে? শুধু খুলনায় না সারাদেশে তেল সরবরাহ কম। এজন্য দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে খুব শিগগির তেল সরবরাহ বৃদ্ধি পেতে পারে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন