নওগাঁয় প্রবাসীর বৃদ্ধ বাবা-মাকে খুনের হুমকি দিয়ে জমি দখল ও পকুর খনন



এ.বি.এম.হাবিব :
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কাশোপাড়া ইউনিয়নের ভরট্ট কাঠের ডাঙ্গা, আন্ধারিয়া পাড়ায় প্রবাসীর বৃদ্ধ বাবা-মাকে হত্যা,খুনের হুমকি দিয়ে জমি জবর-দখল করার চেষ্টা করছে সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মান্দা থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বৃদ্ধ ফজলু রহমানের  দুই ছেলে মোঃ জুয়েল ও জিল্লুর রহমান দুই ভাই পরিবারের স্বচ্চলতা বা জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবে অবস্থান করছে, বাড়ীতে শুধু বৃদ্ধ বাবা-মা থাকে। স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ২৫/৩০ বছর ধরে পৈতৃক ও কবলা সুত্রে ফজলু রহমান ধানী,বাগান,ভিটা এবং বাড়ির সামনের জমি গুলো ভোগ-দখল করে ছেলেদের নিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। সংসারের অভাব অনোটনে প্রায় ১০/১৫ বছর পূর্বে ছেলে দুটিকে সৌদি আরবে পাঠান। এরপর তারা ভালোই চলছিল। হঠাৎ করে 
 গত (১১ ফেব্রুয়ারী) ২০২৫ ইং তারিখে সুন্ধায় একদল স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র,সস্ত্র নিয়ে তার ভুট্টার জমি,বাগান ভিটাসহ সকল জমি-জমা জবর-দখল করার চেষ্টা করে এবং তার ভিটাতে ভেকু মেশিন লাগিয়ে মাটি খনন করতে শুরু করে। এমন সময় জুয়েল,জিল্লুরের বৃদ্ধ বাবা-মা বাঁধা দিতে গেলে,ধারলো অস্ত্র দেখিয়ে খুন করে ফেলার হুমকি, ধামকি দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে বাড়িতে ঢুকিয়ে দেয়। এলাকাবাসীরা চিহিৃত সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের ভয়ে কেহই এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি বলে জানান।

ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের প্রায় ১বিঘা ১০ শতক জমি তারা জবর দখল করছে। গ্রামের মধ্যে তারা ধারালো রামদা,হাঁসুয়া,চাইনিজ কুড়ালসহ সকলের হাতে লাঠি উচিয়ে আতংকের সৃষ্টি করেছে। কেহই সাহস পায়নি এগিয়ে আসতে, তার দুই ছেলে ছাড়া কেহই নেই, তারাও প্রবাসে আছে।  তারা বৃদ্ধ মানুষ সেখানে গিয়ে বাঁধা দিতে গেলে, কিল,ঘুষি ধাক্কাধাক্কি করে অস্ত্র দেখিয়ে, খুন করে ফেলবে বলে বাড়ির মধ্য ঢুকিয়ে দেয়। এলাকার চিহ্নিত হাসান,হৃদয়,সম্রাট,সামীর,আমির,নজির,ও জাম বক্স সহ অনেকেই এগুলো জবর-দখল করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতেও নিষেধ করে এবং ভয়ভীতি দেখায়।  উপায়-অন্ত না পেয়ে,ছেলেদের সাথে কথা বলে,  পরের দিন মান্দা থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন বলে জানান। পরবর্তীতে মান্দা থানার পুলিশ তদন্তে আসলে,পুলিশের সামনেই তারা মারতে উদিত হয়। পরে পুলিশেরা ভিটা থেকে ভেকু মেশিন তুলে দিয়ে,তাদেরকে বাড়িতে চলে যেতে বলে, চলে যায়। কিন্তু রাত লাগলেই আবারও তারা ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি তুলতে লাগে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে,বাড়ির মহিলারা বলেন, দিনের বেলায় কেহই বাড়িতে থাকে না,তাদের ফোন নম্বর চাইলেও বলেন,তারা কেহই ফোনও ব্যবহার করে না বলে জানান। অভিযুক্তরা বাড়িতে না থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন