বিনিয়োগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অভিবাসী কল্যাণের ওপর জোর দিয়ে কূটনৈতিক, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন কুয়েত ও বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে বৃহত্তর সহযোগিতাকে উৎসাহিত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অংশীদারিত্ব পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার ওপর নির্মিত। আমরা বাণিজ্য, জ্বালানি এবং এর বাইরেও সহযোগিতা সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাষ্ট্রদূত হামাদাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আবদুল্লাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ এবং কুয়েতের জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
উভয়পক্ষ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কুয়েত থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা কুয়েতকে বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে অপরিশোধিত তেল শোধনাগারে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে সহযোগিতা অন্বেষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মীদের, বিশেষ করে মহিলা কর্মীদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি সামরিক কর্মীদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছেন।