গৃহবধূ হাসিনা বেগমের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার হওয়ার তিন দিন পর উদ্ধার হলো মাথা। আজ শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্ত এলাকায় তামাকখেত থেকে মাধাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি তদন্ত বাদল কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সীমান্ত এলাকার তামাকখেত থেকে মাথাটি উদ্ধার করেছে। মাথাটি মাটির নিচে পূঁতে রাখা হয়েছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত হাসিনার স্বামী আশরাফুল ইসলামের বাড়ি থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, রক্তমাখা কাপড় ও ভ্যান উদ্ধার করেছে।
নিহত হাসিনা বেগম (৪৪) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিদালদহ দরিবাস এলাকার মৃত কাশেম আলী ও মৃত আছিমা বেগমের মেয়ে। তার স্বামী আশরাফুল ইসলাম (৫৪) লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দীঘলটারী কুটিরচর এলাকবার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামে শফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষকের ভূট্টাখেত থেকে হাসিনা বেগমের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তার পরিচয় সনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসিনার স্বামী আশরাফুলের বাড়ি দীঘলটারি কুটিরচরে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশ আশরাফুলের ঘর থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, রক্তমাখা কাপড় ও ভ্যান জব্দ করে। তবে আশরাফুল বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ভূট্টাখেতের মালিক শফিকুল ইসলাম অজ্ঞাতদের আসামি করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার বাদী ও ভুট্টাখেতের মালিক জানান, যেহেতু হাসিনা বেগমের বাপের বাড়িতে ভারতে আর বাংলাদেশে আপনজন নেই। তার স্বামী এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাই পুলিশের কথায় আমি মামলা করেছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও লালমনিরহাট সদর থানার ওসি তদন্ত বাদল কুমার মণ্ডল বলেন, নিহত গৃহবধূ হাসিনা বেগমের মাথা উদ্ধার করতে বৃহস্পতিবার দুপুর তেকে দূর্গাপুর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। অবশেষে একটি তামাকখেত থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়েছে। আশরাফুল ইসলাম পলাতক থাকায় এখনো হত্যার কারণ জানা যায়নি। তাকেকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।