বাজারজুড়ে অপরিপক্ব তরমুজ

 


পবিত্র রমজান এলেই চাঁদপুরে হাটবাজারে আগাম তরমুজ উঠতে শুরু করে। এবছরও রমজানের প্রথম দিন থেকে ট্রলারে করে দক্ষিণাঞ্চল থেকে হাজার হাজার তরমুজ চাঁদপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে। দাম ভালো পাওয়ায় অপরিপক্ব তরমুজ বাজারজাত করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

চাঁদপুর শহরের চৌধুরীঘাটে দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রতিদিন ১৫-২০টি ট্রলার ও বাল্কহেড করে নিয়ে আসা হচ্ছে তরমুজ। আর সেই তরমুজ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে। তরমুজের সরবরাহ বাড়ায় কর্মব্যস্ততা বেড়েছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের। প্রতিটি নৌযানে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার তরমুজ আসে।

এদিকে চাঁদপুরে আসা বেশির ভাগ তরমুজ ছোট ও মাঝারি আকারের। যার কারণ অধিকাংশ তরমুজ অপরিপক্ব। বিশেষ করে স্থানীয় বাজার ও ভ্যানে করে যারা বিক্রি করছেন, তাদের তরমুজগুলো অপরিপক্ব।

বরিশালের গলাচিপা থেকে আসা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ও আলমগীর বেপারী বলেন, এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। রমজানে তরমুজের চাহিদা থাকে, তাই আগেভাগে তরমুজ নিয়ে এসেছি। দাম বেশি থাকায় আমরা লাভবান হচ্ছি। একটি ট্রলারে হাজারো তরমুজ আসে। এরমধ্যে কিছু অপরিপক্ব থাকতে পারে।

কৃষকরা জানান, বরিশাল, গলাচিপা, ভোলা, পটুয়াখালী, রাঙাবালি, বাংলাবাজার, ইলিশা, মজিবনগর, চরকাজল, চরবিশ্বাস, পাতারহাঠ এসব জায়গায় তরমুজ বেশি হয়। আর সেই তরমুজ ট্রলার ও বাল্কহেডে করে চাঁদপুর চৌধুরীঘাটে নিয়ে আসা হয়। এখানে দাম বেশি থাকায় কৃষকরা তরমুজ সরবরাহ করেন।

ক্রেতা মামুন খান বলেন, রমজানের প্রথম দিন সাড়ে ৩০০ টাকা দিয়ে একটা তরমুজ কিনেছি। কিন্তু বাড়ি নিয়ে কেটে দেখি পুরো সাদা। বেশির ভাগ তরমুজ এখন অপরিপক্ব। তরমুজ পরিপক্ব হওয়ার আগেই বাজারে নিয়ে আসা হয়।

 

চৌধুরীঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী সিকদার জানান, প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চল থেকে ২০-৩০ হাজার তরমুজ ঘাটে আসে। প্রথম দিকে তরমুজ কিছুটা অপরিপক্ব থাকতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন