গাজীপুরে বেশ কিছুদিন ধরে ঘোড়া জবাই করে মাংস বিক্রিকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার ঝড় বইছে। ঘোড়ার মাংস খাওয়া হালাল না হারাম তা নিয়ে চলছে পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা। কিছু অসাধু লোক ঘোড়ার মাংস কমদামে কিনে তা গরুর মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, ঘোড়ার মাংস বিক্রি করা নিষিদ্ধ নয়। তবে এ ব্যবসা করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। তুলনামূলক কম দাম ও স্বাদের কারণে ক্রেতাদের মধ্যে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
ইসলাম ধর্মে ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলেও জানিয়েছেন মুফতি ও ইসলামি চিন্তাবিদরা। তবে এ মাংস খাওয়া নাজায়েজ বলেও কোনো কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ মত দিয়েছেন। আর স্বাস্থ্যগত কিছু বিষয় নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে চিকিৎসকদের।
মূলত মাংসের দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা এতে আগ্রহী হচ্ছেন। যেখানে গরুর মাংসের বাজারদর প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, সেখানে ঘোড়ার মাংস মাত্র ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও ঘোড়ার মাংস খাওয়ার দিকে ঝুঁকছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুজ্জামান বলেন, এলাকার মানুষ প্রথমে দ্বিধায় থাকলেও এখন অনেকে খাচ্ছে।
ঘোড়ার মাংস বিক্রি শুরু করা দুই বন্ধু শফিকুল ইসলাম ও নুরুল্লাহ মামুন জানান, দুবাই ভ্রমণের সময় তারা দেখেন, সেখানে রেস্টুরেন্টে ঘোড়ার মাংস জনপ্রিয়। দেশে এটি প্রচলিত না থাকলেও কম দামে বিক্রি করা গেলে মানুষ গ্রহণ করবে, এই ধারণা থেকেই তারা এই ব্যবসায় নেমেছেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিকে মানুষ একটু সন্দেহ করত। কিন্তু আমরা ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধতা এবং স্বাদের বিষয়ে নিশ্চিত করায় এখন অনেকেই কিনছে।