মানিকগঞ্জ সিংগাইরে কাজের মেয়েকে ধর্ষণ, ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা


মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গৃহকর্তার বিরুদ্ধে কাজের মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নম্বর ১৪ । অভিযুক্ত ধর্ষক বাচ্চু মিয়া (৪৫) মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার চর কাটারি গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। ধষর্ক তার দ্বিতীয় স্ত্রী কাকলি আক্তার (৩২) কে নিয়ে সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের পশ্চিম বাস্তা গ্রামের মৃত তারা মিয়ার মেয়ে প্রবাসি আছমা আক্তারের বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। প্রথম সংসারে রয়েছে তার তিন কন্যা ও দ্বিতীয় ঘরে তিন পুত্র মিলে সে ছয় সন্তানের জনক। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়দের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেও পার পায়নি ধর্ষক।

থানা পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫-৬ মাস যাবৎ সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়নের পশ্চিম বাস্তা গ্রামের প্রবাসি আছমা আক্তারের ভাড়া বাড়িতে থেকে ঢাকায় ব্যবসা করছে ধর্ষক বাচ্চু মিয়া। আশুগঞ্জ ভৈরব এলাকা হতে ধর্ষকের স্ত্রী কাকলি আক্তারের বোনের মেয়ের মাধ্যমে নেত্রকোনা জেলার মদন থানার শফিকুলের নাবিলিকা মেয়েকে (১৫) নিজ বাড়িতে তিন পুত্র ও ঘরের যাবতীয় কাজ সামাল দিতে ভাল বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৩ মাস পূর্বে ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসে ধর্ষক বাচ্চু মিয়া। অতপর নিরীহ মেয়েটির সাথে চলে শারীরিক অত্যাচার। তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় মনোযোগ দিতে বললে মেয়েটি পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে মুক্তির আশায়।  প্রথম পর্বে সেখানে ব্যর্থ হয় মেয়েটি। পরের বার পালিয়ে যাওয়ার পর গত ৮ মার্চ শনিবার অনুমান ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে পুনরায় বাচ্চুর ভাড়া বাড়িতে এসে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া শারীরিক যৌনাচারের বিচার দাবি করেন। মেয়েটির আহাজারিতে সেখানে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে স্থানীয়দের ভীড়। অতপর বাচ্চুর চতুর ও ধূর্তবাজ স্ত্রী কাকলি আক্তার আশপাশের স্থানীয়দের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে ঘিরে শুরু হয় নাটক। জোর করে তার বক্তব্য মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করে ঐ ধর্ষকের স্ত্রীর পাশের বাড়ির কয়েকজন নারী সঙ্গিরা। ভাড়া বাড়িতে একদিন আটক রেখে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে মেয়েটি আপোষ মিমাংসীত হতে দেয়া হয় চাপ সাথে করা হয় প্রহার। এক পর্যায়ে জোর খাটিয়ে তাকে আপোস মিমাংসীত হতে বাধ্য করার চেষ্টাকালে খবর পেয়ে সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম পুলিশ পাঠিয়ে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখে তার বাবাকে খবর দিয়ে পরদিন সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্ত করে মামলা রুজু করে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেয়েটিকে আদালতে পাঠিয়ে দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক শামসুল হক বলেন, মেয়েটিকে আটক অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার পর ওসি স্যারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা নিয়ে বাদীনিকে আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তৌফিক আজম বলেন, এ বিষয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা নেয়া হয়েছে। বাদীনিকে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিতে ও মেডিকেল টেষ্টের প্রক্রিয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আসামিকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন