চুয়াডাঙ্গার বাজারে তরমুজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। ছোট আকারের তরমুজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় এবং বড় আকারেরগুলো ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বিক্রেতারা প্রতিটি তরমুজে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতারা অস্বস্তিতে পড়েছেন।
শহরের বড় বাজার, রেল বাজার, কোর্ট মোড়সহ বিভিন্ন ফলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজের দোকানে ক্রেতাদের ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতারা জানান, তরমুজ গত বছরের তুলনায় এবার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তারা তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানান।
তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছর যে আকারের তরমুজ ১৫০ টাকায় কিনেছিলাম, এবার সেটা ২৫০ টাকা দিতে হচ্ছে। দাম বেশি হলেও ইফতারের জন্য কিনতে হয়েছে।
ব্যবসায়ী হারুন ও তানভির জানান, এবার তরমুজের সরবরাহ ভালো, দামও খুব বেশি না। তবে এবার সব তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম বলেন, রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, তরমুজসহ ইফতারের প্রয়োজনীয় ফলমূল যেন অতিরিক্ত দামে বিক্রি না হয় এবং কোনো সিন্ডিকেট যেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অভিযান চলছে।