শামীম ইশতিয়াক: ক্ষমতার ছায়ায় বিত্ত-বৈভব, অভিযোগের পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে


গাজীপুর প্রতিনিধি : নরেশ ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি, অর্থপাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়িক মহলে তার পরিচিতি থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি যে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেলের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে তিনি ক্ষমতার কাছাকাছি চলে আসেন এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুবিধা নেন। একই সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর কোনো আইনি পরিণতি হয়নি।
 
শামীম ইশতিয়াকের মালিকানায় অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। তবে তার আয়ের প্রকৃত উৎস নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কর ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
 
রাজধানীর বিভিন্ন সূত্র বলছে, তিনি নামি-দামি ব্র্যান্ডের অন্তত ৮-১০টি বিলাসবহুল গাড়ির মালিক। সম্প্রতি, চার কোটি টাকায় একটি নতুন গাড়ি কেনার তথ্যও সামনে এসেছে।
 শামীম ইশতিয়াকের সম্পদের পরিধি শুধু ব্যবসা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর রোডে তার নামে ও বেনামে একাধিক বিলাসবহুল ভবনের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার মালিকানায় একটি ১০ তলা ভবনসহ বিভিন্ন আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পদ রয়েছে, যা সরকারি নথিতে প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া, তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, উত্তরার একটি বাড়ি থেকে তিনি এসব কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

শামীম ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষ তদন্ত ও যথাযথ প্রশাসনিক পদক্ষেপ ছাড়া তাকে বিচারের মুখোমুখি আনা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এবিষয় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য না দিলেও। তারা জানিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন