যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ


ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ব্যবসার জন্য শাশুড়ির কাছ থেকে তিন লাখ টাকা এনে না দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। 

গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী গৃহবধূ নুপুর আক্তার ধামরাইয়ের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা শাহনাজ পারভীন বাদী হয়ে মেয়ের জামাই, মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়িসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভাড়ারিয়া গ্রামের উজ্জ্বল বেপারী ছেলে মো. রবিউল আওয়াল জয়ের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত ফরহাদ হোসেনের মেয়ে নুপুর আক্তার প্রেমের সম্পর্কের জেরে দুই বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শাশুড়ির কাছ থেকে স্ত্রীকে টাকা এনে দিতে চাপ দিতেন জয়। বিয়ের পরে স্ত্রীও তার মায়ের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা এনে দিয়েছেন। মাসখানেক আগে জয় শাশুড়ির কাছে ব্যবসার জন্য তিন লাখ টাকা চান। টাকা দিতে না চাইলে জয়ের পরিবারের লোকজন বেধড়ক মারধর করেন এবং পেটের বাচ্চা মেরে ফেলতে বারবার পেটেও লাথি মারেন।

স্থানীয়রা জানায়, রবিউল আওয়াল জয় মাদকের সঙ্গে জড়িত এ ছাড়া তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাদ হত্যা মামলার আসামি ঢাকা জেলা ছাত্রলীগ উত্তরের সহসম্পাদক তুহিন আহমেদ ও স্থানীয় আবুল কালামের ছত্রছায়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চলেন।

গৃহবধূর মা বলেন, আমি একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। আমার মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার মেয়েকে পেটে লাথি মেরেছে সন্তান নষ্ট করার জন্য। এর আগেও তার মারধরে মেয়ের গর্ভের একটি সন্তান মারা যায়। জয় আমার মেয়েকে রেখে আরেকটি বিয়ে করেছে।

মেয়ের সুখের জন্য সাধ্যমতো অর্থ দিয়েছি। আমার কাছে তিন লাখ টাকা চেয়ে না পাওয়ায় আমার মেয়েকে যারা নির্যাতন করেছে, আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার এ এস আই হাবিবুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ভুক্তভোগীর পরিবার আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন