ঢাকার ধামরাইয়ে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক মো. তোফাজ্জল মিয়া (৪৮) ও স্ত্রী জয়তুন বেগমকে গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। নিহত (স্বামী) মোহাম্মদ আলী ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের বাটুলিয়া গ্রামের মো. খোরশেদ আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে দেপাশাই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ি থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
গ্রেফতারকৃতদের আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে তাদের সোমবাগ ইউনিয়নের কালামপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃত তোফাজ্জল মিয়া সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই উত্তর পাড়া আশ্রয়ন কেন্দ্রের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে আর জয়তুন বেগম একই এলাকার দেপাশাই উত্তর পাড়া আশ্রয়ন কেন্দ্রের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, পরকীয়া প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়া মোহাম্মদ আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গেল রবিবার (২০ এপ্রিল) পুরাতন বাঁশ ক্রয় করার কথা বলে মোহাম্মদ আলীর অটোরিকশাযোগে ধামরাই উপজেলা পরিষদের নির্মানাধীন নতুন ভবনের ৪র্থ তলায় নিয়া যায়। সেখানে তাদের মধ্যে কথাবার্তার এক পর্যায় পরকীয়া প্রেমিক তোফাজ্জল মিয়া পাশে থাকা একটি ইট দিয়া মোহাম্মদ আলীর মাথায় আঘাত করে অজ্ঞান করে। পরে ৪র্থ তলার উত্তর পশ্চিম পাশের বাথরুমের মধ্যে আটকিয়ে স্ত্রী জয়তুন বেগমকে খবর দেয়। পরে জয়তুন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ধারালো অস্ত্র (চাকু) দিয়ে তার স্বামী মোহাম্মদ আলীকে বুকে ও পিঠে একাধিকবার মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করে সেখান থেকে চলে যায়।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয় ছোট বাচ্চারা ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই ভবনের বাথরুমে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং মোহাম্মদ আলীর আত্মীয়-স্বজন লাশ সনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ আলীর ছোট ভাই মো. আব্দুল জব্বার বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা দায়ের করেন।
পরে সিসি ফুটেজ এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করে পুলিশ বুধবার রাতে তোফাজ্জল মিয়াকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্ত্রী জয়তুন বেগমকেও তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামির মুদি দোকান থেকে মোহাম্মদ আলীকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র (চাকু) উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দুইজনকে আজ সকালে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।